রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সতর্ক করে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে কারও হুমকি বরদাশত করা হবে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনীর বিজয় উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও ইউক্রেন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন রুশ সেনারা। এই পরিস্থিতিতে দেওয়া বক্তব্যে ‘অহংকারী’ পশ্চিমা অভিজাতদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত বাহিনীর ভূমিকা ভুলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন পুতিন। পাশাপাশি পশ্চিমারা আবার দুনিয়াজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মস্কোর রেড স্কয়ারে সেনা সমাবেশের ওই অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের উচ্চাভিলাষ কী ধরনের পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, তা আমরা জানি। বৈশ্বিক সংঘাত প্রতিরোধে রাশিয়া সবকিছু করবে। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়া বরদাশত করব না। আমাদের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স (পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী) সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানো পুতিন এই যুদ্ধকে দেখছেন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেওয়াল পতনের পর এই ঘটনা রাশিয়াকে অবমাননার মুখে ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেন ও পশ্চিমারা পুতিনের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্য বিস্তারের মতো ভূমি দখলের অভিযোগ করে আসছে। এই যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছে তারা। বর্তমানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ও পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের বড় অংশ মিলিয়ে ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুতিন বলছেন, একসময় রাশিয়া সাম্রাজ্যের অংশ এসব এলাকা আবার রাশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েক লাখ ছিলেন ইউক্রেনের বাসিন্দা। কিন্তু সোভিয়েত বাহিনী যুদ্ধে নাৎসি বাহিনীকে পিছু হটিয়ে বার্লিনে ফিরে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে বার্লিনে আত্মহত্যা করেন এডলফ হিটলার। ১৯৪৫ সালের ওই সময়ে বার্লিনে ওঠে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় পতাকা।
নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করতে যেসব মিত্র দেশ যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে রাশিয়া সম্মান করে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমে তারা (নেতারা) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষাটা ভুলে গেছে।’ জাপানি সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে চীনের জনগণের লড়াইয়ের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
বিষয় : ঝুঁকি পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh