ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপের সঙ্গে চীনের হীমশীতল সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যেই ৫ বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ সফরে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নসহ মূলত ৩টি উদ্দেশ্যে চীনা নেতার এই সফর।
এর আগে ২০১৯ সালে সবশেষ বেলজিয়াম সফর করেন জিনপিং। সে সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত চুক্তির দিকে নজর দেয় ব্রাসেলস ও বেইজিং। কিন্তু এখন সম্পর্ক বেশ শীতল।
কারণ, নিষেধাজ্ঞা বিনিময়ের পর চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইইউ বিভিন্ন আইন করছে।
গত রোববার ফ্রান্স সফরের মধ্য দিয়ে এ সফর শুরু করেন জিনপিং। এরপর তিনি যাবেন সার্বিয়া ও হাঙ্গেরিতে। এ দেশ দুটি রাশিয়ার মিত্র।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ গতকাল সোমবার প্যারিসে জিনপিংকে স্বাগত জানান। ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেয়েনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস সূত্র বলেছে, দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গে।
ফ্রান্স ২০২২ সাল থেকে ইইউর মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যে সময় রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে চীন।
ফরাসি সরকারের সূত্র বলেছে, এই সফরে মাখোঁ রাশিয়ার অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে জিনপিংকে বলবেন, হিসাব পাল্টাতে। একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখতে।
এ বিষয়ে আটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের সহকারী পরিচালক ম্যাট গেরাসিমের মতে, ইউরোপ সফরে জিনপিংয়ের লক্ষ্য তিনটি।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্ক উন্নয়ন। চীনের বিরুদ্ধে ইইউর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এজেন্ডাকে অকার্যকর করা এবং সার্বিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে বেইজিংয়ের দৃঢ় সম্পর্ক প্রদর্শন করা।
আগামী শুক্রবার শেষ হবে চীনা নেতার এই সফর।