গাজায় সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ)। ইসরায়েলের হামলায় মানবিক সহায়তার অভাব ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে গাজাবাসী। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকায় সংক্রামক রোগ বিস্তারের তীব্রতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ গাজা জুড়ে সাম্প্রতিক ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও কিছু পরিবারকে কয়েকবার সরানোর প্রয়োজনের কারণে গাজায় রোগের বিস্তার তীব্র হয়েছে।
এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। কেননা জনসংখ্যার বিশাল চাহিদা মেটাতে লড়াই করছে উপত্যকার প্রতিটি হাসপাতাল। অধিকাংশেরই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
ওসিএইচএ বলেছে, প্রায় ১ লাখ ৮০ মানুষ ওপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন। ডায়রিয়ার ঘটনা রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০টি যার মধ্যে অর্ধেকই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। ইতিমধ্যে স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৪০০ জন, চিকেন পক্স ৫ হাজার ৩৩০ জনের, ত্বকে ফুসকুড়িতে ভুগছেন ৪২ হাজার ৭০০ ও মেনিনজাইটিসে ভুগছেন আরও ১২৬ জন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজার ১৯ লাখ মানুষ বা সমগ্র জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের অনেককে ঘন ঘন আশ্রয়স্থল পরিবর্তন করতে হয়েছে। খাদ্য ও বেঁচে থাকার জরুরি পণ্যের অভাব এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির কারণে বাস্তুচ্যুতদের কঠিন জীবনযাত্রা আরও কঠিনতর করেছে। পাশাপাশি রোগ সংক্রামণের পরিবেশ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।