গাজায় নাসের এবং আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ এবং সেখানে আবিষ্কৃত গণকবরে শত শত লাশ মেলার খবরে ‘আতঙ্কিত’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। তার মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবরে শত শত লাশ পাওয়ার খবর জানান।
ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে চলে যাওয়ার পর নাসের এবং আল শিফা হাসপাতালেও এমন গণকবরের সন্ধান মিলেছে।
তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ গণকবর দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
আইডিএফ এর ভাষ্য, জিম্মিদের লাশ রয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গনের কবরে থাকা লাশগুলো তুলে পরীক্ষা করে ফের কবরে রেখে দিয়েছে।
এসময় লাশের কোনও অমর্যাদাও তারা করেনি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের মুখপাত্র বলেছেন, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, বহু লাশ পাওয়া গেছে।
সেগুলোর মধ্যে কিছু লাশের হাত বাঁধা, যা মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইন লঙ্ঘনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এসব মানুষের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজার নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি অভিযানের পর সেখানে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা খুবই ‘ভয়ঙ্কর’।
গাজার হামাস পরিচালিত সিভিল এমার্জেন্সি সার্ভিস মঙ্গলবার বলেছে, নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩১০ টি লাশ পাওয়া গেছে।
আরও দুটো গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তবে সেগুলো এখনও খনন করা হয়নি।
ভলকার তুর্ক সম্প্রতি কয়েকদিনে গাজায় ইসরায়েলের চালানো হামলার নিন্দাও জানিয়েছেন।
এসব হামলায় নারী ও শিশুরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।