চীনের গোয়েন্দারা আরও বেশি কিছু চান। মহামারি চলাকালে চীনের প্রযুক্তি-সংক্রান্ত ঠিকাদারদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে তারা অভিযোগ করেন, বেইজিংয়ের কূটনৈতিক এলাকায় বিদেশি কূটনীতিক, সামরিক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারির জন্য যেসব ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।
বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডজনের বেশি মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্য, চীনের গোপন নথি ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত তথ্যের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, চীনের গোয়েন্দারা ডাটাবেজ ও শত শত ক্যামেরা থেকে এআই প্রোগ্রামে তথ্য সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেন। এসবের মধ্যে গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, মোবাইল ফোনের তথ্য, ফোন নম্বর ইত্যাদি সংযুক্ত থাকবে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রোফাইল চীনের গোয়েন্দাদের টার্গেট ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সহায়তা করবে।
বৈঠকের যেসব নথি মার্কিন গণমাধ্যমটির হাতে এসেছে, তা থেকে চীনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রযুক্তির প্রতি কতটা আগ্রহী, সে সম্পর্কে জানা যায়। বিষয়টি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছে। বৈঠকের নথিতে চীনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির (এমএসএস) উচ্চাকাঙ্ক্ষাও স্পষ্ট হয়েছে।
দূতাবাসগুলোতে নৈশভোজকালে যে গল্পকথন হতো, এক সময় সেগুলোই ছিল চীনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএসের তথ্যের উৎস।
যা হোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর নজরদারি বাড়াতে চাচ্ছে এমএসএস।
চীনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এ লড়াই যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চলা ‘শীতল যুদ্ধ’কালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তখন লড়াই ছিল সিআইএ ও কেজিবির মধ্যে। সে সময় কেজিবিও বেশ শক্তিশালী ছিল। পরে এ গোয়েন্দা সংস্থা থেকেই জন্ম হয় ভ্লাদিমির পুতিনের মতো রুশ নেতার।
তবে উল্লেখযোগ্য ভিন্নতাও রয়েছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতটা শক্তিশালী না থাকলেও চীনে এখন চলছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিকাশকাল। এটা এমএসএসকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে, যা মার্কিন গোয়েন্দাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। কেজিবি এ ধরনের চ্যালেঞ্জ দিতে পারেনি।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টিমসন সেন্টারের চায়না প্রোগ্রামের পরিচালক ইউন সান বলেন, অন্যদের বাণিজ্যের গোপনীয়তা ও প্রযুক্তি গ্রহণ করা চীনের পক্ষে একটি জনপ্রিয় বিষয়।
সিআইএর সহকারী পরিচালক ডেভিড কোহেন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে চীনের অগ্রগতি চিহ্নিত করে সিআইএ তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
বিষয় : চীন গোয়েন্দা সংস্থা চ্যালেঞ্জে সিআইএ
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh