মানব পাচার সন্দেহে ফ্রান্সের ভাত্রি বিমানবন্দরে কয়েক শ ভারতীয় যাত্রীসহ আটকে রাখা উড়োজাহাজটি ভারতে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর ) ভোরে রোমানীয় কোম্পানি লিজেন্ড এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ২৭৬ যাত্রী নিয়ে মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এয়ারবাস এ৩৪০ উড়োজাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থেকে নিকারাগুয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। ২১ ডিসেম্বর জ্বালানি নিতে ফ্রান্সের ভাত্রি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর মানব পাচার সন্দেহে এটিকে চার দিন আটকে রাখা হয়।
উড়োজাহাজটিতে ৩০৩ ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। তবে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার পর দুই নাবালকসহ ২৫ জন ফ্রান্সে রয়ে গেছেন।
উড়োজাহাজটি অবতরণের পর দিন ২২ ডিসেম্বর ওই যাত্রীদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছিল। এযাত্রায় তাঁদের ‘ভূমিকা’ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, অজ্ঞাত সূত্র থেকে ভাত্রি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল, উড়োজাহাজটিতে মানব পাচারের শিকার মানুষেরা থাকতে পারেন।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিন ধরে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোববার ফরাসি কৌঁসুলিরা উড়োজাহাজটিকে বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি দেন।
যদিও স্থানীয় প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দেওয়া এ-সংক্রান্ত বিবৃতিতে কোনো গন্তব্যস্থলের নাম উল্লেখ করা হয়নি; তবে স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যাত্রীরা ভারতে চলে যেতে পারেন।
বিবিসি বলছে, ফ্লাইটটি কেন পুনরায় নিকারাগুয়ায় না গিয়ে মুম্বাইয়ে গেল, তা স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া মানব পাচারের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ‘নিশ্চিত’ হয়েছে কি না, তা–ও জানা যায়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এএফপিকে জানায়, উড়োজাহাজটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় পাড়ি জমানোর স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা নিকারাগুয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।
এই যাত্রীদের এক-তৃতীয়াংশ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।