ফিলিস্তিনের গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আইসিজে ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এই আদেশ দেন।
আইসিজের আদেশে দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেয়া হলেও গাজায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়নি।
আদালতের আদেশের পর কি ব্যবস্থা নেয়া হলো, তা এক মাসের মধ্যে আইসিজেতে বিস্তারিতভাবে জানাতে ইজরায়েলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
পরে ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, এতে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ছিল।
এরপর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, ইজরায়েলী হামলায় ৩২ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে গাজার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আইসিজের আদেশে বলা হয়, বিলম্ব না করে জাতিসংঘের সাথে পূর্ণ সহযোগিতায় গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য, জল, জ্বালানী ও চিকিৎসা সামগ্রী সহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে গাজার উপর থেকে মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে ইসরাইলকে।
আদালত অবশ্য গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা ঘটিয়েছে কি না—এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। তবে বলেছেন, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা সনদের আওতায় গণহত্যা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।
বৃহস্পতিবার আদালত জানুয়ারির পদক্ষেপগুলিকে পুনরায় নিশ্চিত করে আইসিজের আদেশে বলা হয়, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা জুড়ে ফিলিস্তিনিদের মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।