সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজ থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই জাহাজ থেকেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নিয়েছে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানায় ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই পোস্টে জানানো হয়, এমভি রুয়েন নামের বাল্ক ক্যারিয়ারের মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটিকে ভারতীয় উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে এটি ছিনতাই হয়। খবর আল জাজিরার
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার প্রথম তারা এমভি রুয়েনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে জলদস্যুদের সবাইকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। একপর্যায়ে জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জাহাজটিতে কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ বা মাদক রয়েছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।
এই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডোরাও অংশ নেন বলে বাহিনীর পক্ষে একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যোগ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ২৩ নাবিকসহ ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
গত মঙ্গলবার ২৩ নাবিকসহ ভারতীয় মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তারা ওই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনী ধারণা করছে, এমভি আবদুল্লাহকে ছিনতাই করতে এমভি রুয়েনকে ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী এ পর্যন্ত ছিনতাই, ছিনতাই চেষ্টা ও সন্দেহজনক গতিবিধির অন্তত ১৭টি ঘটনা রেকর্ড করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টারের তথ্যমতে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ডিসেম্বরে অন্তত তিনটি ছিনতাই ব্যর্থ করে দেয় নৌবাহনী।