ফিলিস্তিনে আরও টানেলের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিসে আবাসিক ভবনের নিচে আরও দুটি টানেল পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের ৭ আর্মড ব্রিগেড দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের হামাদ টাউনে আবাসিক ভবনের নিচে টানেল পেয়েছে। সেখানে একটি টানেলের মুখ ভূগর্ভস্থ পথের দিকে গিয়েছে। টানেলে অস্ত্র ও খাবার পাওয়ারও দাবি করেছে তারা।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তারা আরও একটির টানেল পেয়েছে। এ টানেলের ভেতরে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও হামাসের টানেল নির্মাণে ব্যবহৃত কংক্রিট উৎপাদনের যন্ত্রপাতি পেয়েছে। বিমান হামলার মাধ্যমে এ টানেল ধ্বংসেরও দাবি করেছে তারা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাদে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। এসব জায়গা থেকে স্নাইপার রাইফেল, বিস্ফোরক ডিভাইস, সামরিক সরঞ্জাম এবং গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে।
আল আকসা থেকে মুসল্লিদের পিটিয়ে বের করা হলো
এর আগে ইসরায়েলের এ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালাল স্মোটরিচের আপন চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। এই খবর জানিয়েছেন স্মোটরিচ নিজেই।
নিজের এক্স পেজে দেওয়া এক পোস্টে স্মোটরিচ জানিয়েছেন, নিহত মেজর অ্যামিশার তার আপন চাচাতো ভাই। অ্যামিশারের সঙ্গে তিনি একসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন এবং তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন স্মোটরিচ। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলের একজন ব্রিগেড কমান্ডার ও অর্থমন্ত্রী স্মোটরিচের চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ গাজায় শুক্রবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মেজর অ্যামিশার বেন ডেভিড নিহত হয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী এই সেনা কর্মকর্তা ইসরায়েলের ‘ওজ’ কমান্ডো ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। একই সংঘর্ষে আরেক সেনা কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাকে ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ নিয়ে ইসরায়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাজায় স্থল আগ্রাসন চালাতে গিয়ে মোট ২৪৮ সেনা নিহত হলো। যদিও প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি হামাসের।