গাজায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার মিসর সফরে গেছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আশা করা হচ্ছে হামাসপ্রধান ‘জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করার একটি চুক্তির’ বিষয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দাপ্রধান এবং অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে একটি ‘উচ্চ পর্যায়ের’ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
হামাসের হাতে জিম্মি আরও ১২৯ জনের মুক্তি নিশ্চিত করতে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছেন ইসরায়েলের নেতারা।ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজোগ বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য আরও একটি মানবিক বিরতি এবং অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত’ তাঁর দেশ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েল প্রস্তাব দিয়েছে, হামাস যদি ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেয়; তাহলে সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে তারা। তবে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা গাজী হামাদ জানিয়েছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো চুক্তিতে রাজি হবেন না তারা।এদিকে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দোহায় বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান। বৈঠকে তারা ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্যদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের তাল আজ-জাতারে হামাসের চালানো রকেট হামলায় একসঙ্গে আট ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় মৌলিক মানবিক নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ইসরায়েলি পদক্ষেপের জবাবে তাঁর দেশ এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।