পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে ইউরোপের দেশ সুইডেনের সামনে সবশেষ বাধা ছিল হাঙ্গেরির আপত্তি। সেই বাধা দূর হয়েছে।
ভোটাভুটির পর গতকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট সুইডেনের ন্যাটোভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
নরডিক অঞ্চলের দেশ সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষতার নীতি মেনে আসছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ২০২২ সালে সুইডেন ওই নীতি পরিত্যাগ করে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করে।
ন্যাটোর নিয়ম হলো, সদস্যভুক্ত কোনো দেশ আক্রমণের শিকার হলে সদস্যদেশগুলো একযোগে আক্রান্ত দেশটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। নিজেদের সুরক্ষায় এমন নিশ্চয়তা সুইডেনকে ন্যাটোর প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
নতুন সদস্য করার ক্ষেত্রে ন্যাটোর আরেকটি নিয়ম রয়েছে। তা হলো, সব সদস্যদেশের অনুমোদন না পেলে কেউ জোটের সদস্য হতে পারবে না। আর এ নিয়মের বেড়াজালে ঝুলে যায় সুইডেনের আবেদন। আপত্তি তোলে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি।
এর আগে তুরস্ক আপত্তি তুলে নিয়েছে। এবার হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর সুইডেনের সামনে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সব বাধা কার্যত কেটে গেল।
হাঙ্গেরি এত দিন সুইডেনকে ‘শত্রুভাবাপন্ন’ বলে এ প্রক্রিয়া আটকে রেখেছিল। গত সপ্তাহে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ‘এখন দুই দেশ (হাঙ্গেরি ও সুইডেন) একে অন্যের জন্য মরতেও প্রস্তুত রয়েছে।’
হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেন, এটা ঐতিহাসিক একটি দিন। সুইডেনের ২০০ বছরের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগের পথে এটা বড় একটি অর্জন।
অন্যদিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, হাঙ্গেরির এমন সিদ্ধান্ত এ সামরিক জোটকে আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ করবে।