ফিলিস্তিনের রাফাহ শহরে ইসরায়েলের আক্রমণ থামাতে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-কে বলেছে, ইসরায়েল এবার রাফাহতে সামরিক কার্যকলাপ চালানোর কথা জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আদালত তার ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসরায়েলকে থামাক এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষা করুক। সাউথ আফ্রিকা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল যে রাফাহতে সামরিক অভিযানের কথা বলেছে, তাতে প্রচুর মানুষ মারা যাবেন এবং ধ্বংসলীলা চলবে।
তাদের মতে, এটা ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ও জেনোসাইড কনভেনশনের বিরোধী।
এর আগে গত মাসে আইসিজে রায় দিয়েছিল, ফিলিস্তিনের গাজাতে গণহত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েল যেন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়। তখন সাউথ আফ্রিকাই আইসিজে-তে আবেদন জানিয়েছিল।
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাফাহতে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালকিকে পাশে নিয়ে বার্লিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এই ঘোষণায় রীতিমতো চিন্তিত। যদিও এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, রাফাহতে হামাসের বিশাল উপস্থিতি আছে এবং ইসরায়েলেরও নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে।’
বেয়ারবক বলেছেন, ‘রাফাহ থেকে সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে অন্যত্র চলে যেতে পারে, ইসরায়েলকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
বুধবারই বেয়ারবক দুইদিনের সফরে ইসরায়েল যাচ্ছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, কাতার ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধানরা কায়রোতে আলোচনা করেছেন। মঙ্গলবার তারা এই আলোচনা করেন।
একাধিক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস ও মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া সেখানে ছিলেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল-থানিও কায়রো গেছেন।
মিসরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপি-কে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে আলোচনা হবে। ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। সেখানে বলা থাকবে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য সব পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, রাফাহতে বিমান হামলায় তাদের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর একটা ভিডিও করছিলেন। সেসময় ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
আহত সাংবাদিক ইসমাইল আবু ওমরের পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।