আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ‘ভূকৌশলগত বিভক্তির কারণে পরিষদ পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ হয়ে পড়েছে। এ বিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে জাতিসংঘের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্যই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় । এ বিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না।গুতেরেস বলেন, গাজা পরিস্থিতির এত দ্রুত অবনতি হচ্ছে যে তা ‘বিপর্যয়ের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব এমন হবে যে ফিলিস্তিনিরা হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। গাজা সংঘাত এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে। গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। কাতারসহ কয়েকটি পক্ষের মধ্যস্থতায় এটি সম্ভব হয়েছিল। দোহা ফোরামে নতুন করে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটিতে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের ৪০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদিকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জাকি হানেগবি জানিয়েছেন, গাজায় তাঁরা অন্তত সাত হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। গাজায় শুধু হতাহত মানুষই নয়, দিন দিন বাড়ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও। গত শুক্রবার গাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক কার্ল স্কাউ। পরে তিনি জানিয়েছেন, গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত থাকছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। গাজায় মিসর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং খোলা রয়েছে। এই ক্রসিং দিয়ে সীমিত গাজায় ত্রাণ ঢুকছে।