ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য হোটেল ভাড়া দেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় হোটেল মালিকদের সংগঠন। বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কথিত 'ভারতবিরোধী' অবস্থানের অজুহাত দেখিয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পর্যটন, শিক্ষা ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি ভ্রমণে যাওয়া বাংলাদেশিরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন।
১৮০ হোটেলে নিষেধাজ্ঞা
সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'বৃহত্তর শিলিগুড়ি হোটেল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি' আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ জানান, তাদের আওতাধীন ১৮০টি হোটেলে কোনো বাংলাদেশিকে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হবে না। এমনকি সংগঠনের বাইরে থাকা আরও প্রায় ৫০টি হোটেলও এই নিষেধাজ্ঞায় সংহতি জানিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনটি। তবে সে সময় মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থী এবং জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে আসা বাংলাদেশিদের জন্য নিয়ম শিথিল রাখা হয়েছিল। বর্তমান সিদ্ধান্তে সেই সুযোগও বাতিল করা হয়েছে। উজ্জ্বল ঘোষের দাবি, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা এবং ভারতবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদেই তারা এবার পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পথে হাঁটছেন।
সংকটে পর্যটন ও চিকিৎসাসেবা
শিলিগুড়ি মূলত উত্তর-পূর্ব ভারত ও নেপাল-ভুটান ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। এ ছাড়া প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি উন্নত চিকিৎসার জন্য এই শহরটিকে বেছে নেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এই একতরফা সিদ্ধান্তে দুই দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও আঞ্চলিক পর্যটন বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।