× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের প্রস্তাবে বড় পরিবর্তনের দাবি রাশিয়ার

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ এএম । আপডেটঃ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ এএম

যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকের আগের রাতে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সামরিক বাহিনীর ট্রাংকের বহর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে একটি শান্তি চুক্তির 'খুব কাছাকাছি' পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চুক্তিকে আলোর মুখ দেখাতে হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় 'মৌলিক পরিবর্তন' আনতে হবে বলে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মস্কো। শান্তি ফেরাতে যখন আলোচনা চলছে, এর মধ্যেই ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ৭০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ফর ইউক্রেন, কেইথ কেলগ, জানিয়েছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান প্রচেষ্টা 'শেষ ১০ মিটার দূরে রয়েছে'—তবে এই শেষ ধাপটিই সবচেয়ে কঠিন। আগামী জানুয়ারিতে পদত্যাগ করতে যাওয়া কেলগ গত শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় রেগ্যান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামে এই মন্তব্য করেন।

কেইথ কেলগ জানান, চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রধানত দুটি বাধা অতিক্রম করতে হবে:

১. ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতবিরোধ। রাশিয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য পুরো দনবাস অঞ্চল দাবি করছে। তবে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে এখনো প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশঙ্কা করছেন, এই অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিলে তারা সেখান থেকে ইউক্রেনের আরও গভীরে হামলা চালাতে পারবে।

২. ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এর নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েও আলোচনা চলছে।

কেলগের ভাষ্য, এই দুটি প্রধান সমস্যার সমাধান হলে অন্যান্য বিষয়ও মিটে যাবে।

ফ্লোরিডায় তিন দিনের আলোচনা শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে 'বাস্তবসম্মত ও গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে বলে জানান।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি বলেন, ইউক্রেন সত্যিকারের শান্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি জোর দেন যে, যেকোনো গঠনমূলক অগ্রগতি পুরোপুরি মস্কোর ওপর নির্ভর করছে।

এর আগে গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পরই পুতিনের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান সহকারী ইউরি উশাকভ ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবে 'মৌলিক পরিবর্তন' আনতে হবে, যদিও এর বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।

ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো এবং রেলসম্পদকে লক্ষ্য করে রাশিয়া ৭০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে হাজার হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ ও পানিসংকট দেখা দিয়েছে। জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল আমাদের জ্বালানি অবকাঠামোগুলো। ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলাটাই রাশিয়ার লক্ষ্য।'

ক্রেমলিন এই বিশাল হামলার কথা স্বীকার করলেও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কথা অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা ও জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে এবং সব লক্ষ্যবস্তুতেই সফলভাবে আঘাত হানতে পেরেছে।

শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আগামীকাল সোমবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে এবং মস্কো যেন শান্তির পথে ফিরে আসে, সে জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006 ,01922575574

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.