ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ছুটি কাটানোর সময় মাকে হত্যা করা এবং লাশ স্যুটকেসে ভরে রাখতে সাহায্য করায় হিথার ম্যাক নামের এক নারীকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
২০১৪ সালে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রেমিক টমি শেফারের সঙ্গে চক্রান্ত করে হিথার ম্যাক তার মা উইজি ম্যাককে হত্যা করেছিলেন। ট্রাস্ট ফান্ডের ১৫ লাখ ডলার পাওয়ার জন্য উইজিকে হত্যা করা হয়।
বিবিসি জানায়, এ ঘটনায় হিথার ম্যাককে ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে গেলে সেখানে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন এবং তার বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিক হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
২ বছর ধরে শিকাগো কারাগারে আছেন হিথার। বুধবার মার্কিন আদালতের বিচারক ম্যাথিউ কেনেলি হিথার ম্যাকের কারাদণ্ডের রায় দেন।
আদালতের রায়ে ২৮ বছর বয়সী ম্যাকের আনুষ্ঠানিক সাজা কমিয়ে প্রায় ২৩ বছর করা হয়েছে। ২৬ বছর কারাদণ্ডের সাজায় আগেই ২ বছর কারাগারে থাকায় সাজার সময় কমানো হয়। কৌসুলিরা ম্যাকের ২৮ বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিলেন।
উইজি হত্যাকাণ্ডের সময় হিথার ম্যাকের বয়স ছিল ১৮। সে সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কৌসুলিরা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের সময় মা উইজির মুখ ঢেকে রেখেছিলেন মেয়ে ম্যাক। আর তার প্রেমিক শেফার একটি ফলের বাটি দিয়ে উইজির মাথায় আঘাত করেন। পরে একটি স্যুটকেসের ভেতরে লাশ ঢোকানো হয়।
কৌসুলিরা জানান, হোটেলে উইজিকে হত্যার পর হিথার ও শেফার একটি ট্যাক্সিতে স্যুটকেসটি রেখে পালিয়ে যান। ট্যাক্সিচালক পুলিশকে খবর দেন। হিথার ও শেফারকে পরে বালিদ্বীপের অন্য একটি হোটেলে পাওয়া গিয়েছিল।