ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার উয়ান গ্রামে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় ধাতব ধ্বংসাবশেষ দেখছেন স্থানীয় লোকজন।
গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট চার দিনের সামরিক সংঘাতকে চীন ‘সুযোগ বুঝে’ তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার বাস্তব মাঠের পরীক্ষা ও প্রচারের জন্য কাজে লাগিয়েছে। দ্বিদলীয় মার্কিন কংগ্রেসনাল কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। এই সংঘাতকে বেইজিং তাদের আধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করেছে, যা তাদের সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা শিল্পের লক্ষ্য পূরণ এবং ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) প্রকাশিত ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন-এর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই সংঘর্ষে প্রথমবারের মতো চীনের আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা—যার মধ্যে রয়েছে এইচকিউ–৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, পিএল–১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং জে–১০ যুদ্ধবিমান—সক্রিয় যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। এটিকে চীন 'বাস্তব অর্থে মাঠের পরীক্ষা' (রিয়াল ওয়ার্ল্ড ফিল্ড টেস্ট) হিসেবে ব্যবহার করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সংঘাতের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর চীনের দূতাবাসগুলো বিভিন্ন দেশে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে তাদের অস্ত্রব্যবস্থার 'সাফল্যের' প্রশংসা করে প্রচারণা চালায়। এটিকে সরাসরি ‘অস্ত্র বিক্রি বৃদ্ধির’ চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে:
তবে, কমিশন সতর্ক করে বলেছে, মে মাসের এই সংঘাতকে 'প্রক্সি যুদ্ধ' বলা হলে 'উসকানিদাতা' হিসেবে চীনের ভূমিকাকে বাড়িয়ে বলা হবে।
মার্কিন কমিশনের এই প্রতিবেদনকে চীন সরাসরি 'ভুয়া তথ্য' বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং রাফাল নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আপনারা যে তথাকথিত কমিশন'-এর কথা বলছেন, তারা সবসময় চীনের প্রতি আদর্শগত বিদ্বেষ পোষণ করে। তাদের বলার মতো বিশ্বাসযোগ্য কোনো কিছু নেই।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদন নিজেই একটি ভুয়া তথ্য।’
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল। ভারত এই হামলায় জড়িতদের পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে, যা পাকিস্তান নাকচ করে দেয়।
গত ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত করে, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে চার দিন ধরে সংঘাত চলে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার এই দাবি অস্বীকার করে এবং জানায়, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত বন্ধে রাজি হয় ভারত–পাকিস্তান।
বিষয় : ভারত পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চীন
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
