× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যুদ্ধবিরতিতে আরএসএফের সম্মতি, সুদানে কি শান্তি ফিরবে?

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক:

০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৮ পিএম । আপডেটঃ ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৯ পিএম

প্রাণ বাঁচাতে আল-ফাশের থেকে পালিয়ে তাউইলা শহরের আশ্রয়শিবিরে এসেছেন সুদানিরা। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে মানবিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। যুক্তরাষ্ট্র ও বন্ধুভাবাপন্ন আরব দেশগুলোর পরামর্শ মেনে গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) এক বিবৃতিতে তারা এই সম্মতির কথা নিশ্চিত করেছে।

এর আগে একাধিকবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও কোনোটিই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি আরএসএফ এবং সুদানের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার এই সংঘাত।

নতুন বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, 'সুদানের সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোয়াড দেশগুলোর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মানবে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস।'

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে গঠিত এই 'কোয়াড মধ্যস্থতাকারী সংস্থার' সদস্য হলো যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।

দারফুরের পশ্চিমে দুর্ভিক্ষপীড়িত এল-ফাশের শহরের নিয়ন্ত্রণ আধা-সামরিক বাহিনীর হাতে চলে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই বিবৃতি প্রকাশ করল আরএসএফ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকা উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস এই সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিলেন যে, আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ও সামরিক বাহিনী উভয়ই তিন মাসের শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে।

আরএসএফ এই চুক্তি মানার কথা জানালেও সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। এর আগে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছিলেন, তাঁর সেনারা 'প্রতিপক্ষের পরাজয়ের' জন্য অপেক্ষা করছে।

গভীর হচ্ছে মানবিক সংকট

এল-ফাশেরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আরএসএফ দারফুরের অধিকাংশ এলাকার দখল নিয়েছে।

এ অঞ্চলে আরএসএফের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের উপর ভয়াবহ অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অভিযোগ করেছে, স্থানীয় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে প্রায় ৪৫০ মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে হত্যা এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে স্যাটেলাইট ছবিতে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি ওই অঞ্চলে অত্যাচারের অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে। একাধিক মানবাধিকার সংগঠন সুদানে সাধারণ মানুষের উপর ঘটে চলা অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছে।

ওই অঞ্চলে কর্মরত অলাভজনক সংগঠন ইসলামিক রিলিফ জানিয়েছে, তাদের স্থানীয় লঙ্গরখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। এই দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সুদানের বহু পরিবারের খাবারের সংস্থান হয়।

সুদানে কর্মরত ডাক্তারদের নেটওয়ার্ক তাউইলা, কুর্মা ও গোলো অঞ্চলের আশ্রয়শিবিরগুলোর করুণ দশা তুলে ধরেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশের অন্যান্য অংশ থেকে সেখানে পালিয়ে এসেছেন।


সূত্র: এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.