শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগি'র ধ্বংসলীলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ফিলিপাইনে অন্তত ১৮৮ জন এবং ভিয়েতনামে অন্তত ৫ জন মারা গেছেন বলে বিবিসি সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১৪৯ কিলোমিটার গতিবেগে কালমায়েগি ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে। শুক্রবার সকালে উপকূলীয় শহরগুলোতে এর তাণ্ডবের ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়ে। রাতভর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়েছে, বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং বড় বড় জানালা ভেঙে গেছে।
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ভিয়েতনামে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবনে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিচু এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। দেশটির বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর ও এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দাক লাক প্রদেশের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্যায় তাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে বা ভেসে গেছে। এর আগে গত সপ্তাহে মধ্য ভিয়েতনামে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
একই ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ১৮৮ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি দেশটিতে নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৩৫ জন। ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বৃহস্পতিবারও ছিল ১১৪। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে দেশটির সরকার দেশজুড়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে টাইফুন কালমায়েগি পশ্চিমে কম্বোডিয়া ও লাওসের দিকে এগোচ্ছে। এর মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে আরেকটি নতুন টাইফুন তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।