× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হংকং বিমানবন্দরে দুবাইয়ের কার্গো বিমান ছিটকে সাগরে, নিহত ২

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ এএম । আপডেটঃ ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে একটি কার্গো উড়োজাহাজ সাগরে গিয়ে পড়েছে। এই দুর্ঘটনায় বিমানবন্দরের দুইজন গ্রাউন্ড স্টাফ নিহত হয়েছেন। তবে উড়োজাহাজে থাকা চারজন ক্রু অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন।

স্থানীয় সময় রবিবার দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা এমিরেটসের ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ (বোয়িং ৭৪৭-৪৮১) উত্তর দিকের রানওয়েতে এই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।

বিমানবন্দর ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রানওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের বেড়া ভেঙে ফেলে। দুর্ভাগ্যবশত, সে সময় বিমানবন্দরের একটি নিরাপত্তা টহল গাড়ি সেখানে ছিল। উড়োজাহাজটির সঙ্গে ওই গাড়ির সংঘর্ষ হয় এবং সেটি সাগরে ছিটকে পড়ে। গাড়ির দুই আরোহী, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফ—যাদের বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ৪১ বছর—তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে তারা মারা যান।

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন্স) স্টিভেন ইয়ু সিউ-চাং সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহত দুই গ্রাউন্ড স্টাফের একজনের ৭ বছর ও অন্যজনের ১২ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য উপযোগী ছিল এবং এই দুর্ঘটনার প্রভাব অন্য কোনো ফ্লাইটের ওপর পড়েনি।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, খবর পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা দেখেন, উড়োজাহাজটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে এবং অংশবিশেষ পানিতে ভাসছে। এমিরেটসের চার ক্রু নিজেরা দরজা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

এমিরেটসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ হংকং বিমানবন্দরে অবতরণের সময় 'ক্ষতিগ্রস্ত' হয়েছে। বিবৃতিতে ক্রুদের সবাই নিরাপদ আছেন এবং বিমানে কোনো মালামাল (কার্গো) ছিল না বলে নিশ্চিত করা হয়।

জানা গেছে, বোয়িং ৭৪৭ কার্গো উড়োজাহাজটি ‘ওয়েট লিজ’ চুক্তির আওতায় এয়ার এসিটি থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। ট্র্যাকিং সাইট এয়ারফ্লিটস অনুসারে, ৩০ বছরের বেশি পুরোনো এই বিমানটি প্রথম উড়েছিল ১৯৯৩ সালে এবং এটি একসময় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ছিল, পরে মালবাহী উড়োজাহাজে রূপান্তর করা হয়।

দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের উত্তর রানওয়েটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ রানওয়ে সচল থাকায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে।

হংকং এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অথরিটির কর্মকর্তারা এখন সাগরে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (ব্ল্যাক বক্স) খুঁজছেন। তদন্তের গতি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের ওপর নির্ভর করছে বলে তারা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের জুলাইয়ে কাই টাক থেকে চেক ল্যাপ কক-এ বিমানবন্দর স্থানান্তরের পর এটি দ্বিতীয় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এর আগে ১৯৯৯ সালের অগাস্টে টাইফুনের সময় চায়না এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে তিনজন নিহত হয়েছিলেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.