× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পদার্থে নোবেল: কোয়ান্টাম রহস্য উন্মোচনে মার্কিন তিন বিজ্ঞানী সম্মানিত

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৯ পিএম । আপডেটঃ ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৯ পিএম

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয়ী তিন মার্কিন বিজ্ঞানী (বাঁ থেকে) জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস।

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানী হলেন জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস।

এই তিন বিজ্ঞানীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে 'স্থূল কোয়ান্টাম যান্ত্রিক টানেলিং' এবং 'শক্তির কোয়ান্টাইজেশন' আবিষ্কারের জন্য। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের মতে, এই আবিষ্কার কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

মূলত, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত ক্ষুদ্রাতীত কণার আচরণ কীভাবে আমাদের পরিচিত বড় আকারের মানব-সৃষ্ট বস্তুতে প্রয়োগ করা যেতে পারে, সেটাই ছিল এবারের পুরস্কারের কেন্দ্রবিন্দু। পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তিন বিজ্ঞানী তাদের ধারাবাহিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে এই ঘটনাটি বাস্তবে সম্ভব।

তারা এমন একটি অতিপরিবাহী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা তৈরি করেন, যা একটি অবস্থা থেকে সরাসরি অন্য অবস্থায় 'টানেল' করে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি দেখে মনে হয় যেন একটি জিনিস দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে ভেদ করে চলে গেছে। তারা আরও প্রমাণ করেন যে এই ব্যবস্থাটি সুনির্দিষ্ট 'ডোজ'-এ বা নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তি শোষণ করে এবং বিকিরণ করে। এই ফলাফল কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। বিজ্ঞানীদের এই যুগান্তকারী কাজ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং মৌলিক পদার্থবিদ্যার গবেষণায় নতুন পথ খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই পদার্থবিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং জিওফ্রি ই. হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তারা এই পুরস্কার জিতেছিলেন। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন—ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন আর্থুর আসকিন। ২০১৮ সালে ৯৬ বছর বয়সে তিনি সম্মানজনক এই পদক পান। অন্যদিকে, ১৯১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে পদার্থে নোবেল পেয়ে রেকর্ড গড়েন লরেন্স ব্রেগ। আর জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে দুইবার এই ক্যাটাগরিতে নোবেল পেয়েছেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.