গত সপ্তাহে কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে থাইল্যান্ডে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১৬টি প্রদেশ প্লাবিত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক লাখের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় থাই সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সোমবার জরুরি ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বন্যাদুর্গতদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী অনুতিন বলেন, "দেশের বহু প্রদেশে বন্যা, ঝড় আর ভূমিধসের মতো দুর্যোগ দেখা দিয়েছে—এতে প্রাণহানি ঘটেছে, সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।" তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন করে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর, মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের উত্তরাদিত প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যার ভয়াবহতা তুলে ধরে এক স্থানীয় বাসিন্দা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম থাইপিবিএস-কে বলেন, "পানি এত দ্রুত উঠছিল যে আমাদের ছাদে উঠে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। কিন্তু ছাদও ভেঙে পড়তে শুরু করায় বেরিয়ে আসতে হয়। এখন আমরা মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছি।"
উল্লেখ্য, গত বছরও মৌসুমি বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে থাইল্যান্ডে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।