× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইন্দোনেশিয়ার স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ১৩ জন

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক:

০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৩৬ পিএম । আপডেটঃ ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৩৭ পিএম

সিদোয়ারজোতে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের (পেসানত্রেন) ধসে পড়া ভবন থেকে জরুরি বিভাগের কর্মীরা অন্তত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। সিদোয়ারজো শহরে গত সপ্তাহে এই ভবনটি ধসে পড়ার পর থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এলেও এখনও ১৩ জন কিশোর নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই একটি ঘটনা চলতি বছর (২০২৫) ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া দুর্যোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী।

গত সোমবার (তারিখ উল্লেখ নেই, তবে গত সপ্তাহে) রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার পূর্বে পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল-এর একটি ভবন ধসে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ভবনটির নিচে শত শত কিশোর চাপা পড়ে যান।

দেশের দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রোববার রাত পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ আবর্জনা সরিয়ে ফেলেছেন। এই সময়েই ধ্বংসস্তূপ থেকে কিশোরদের মৃতদেহ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ খুঁজে পাওয়া যায়।

দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থাটির প্রতিনিধি বুদি ইরাওয়ান সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত যে সংখ্যক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে মোট ৫০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিখোঁজ অপর ১৩ জনের সন্ধানে তল্লাশি সোমবারের মধ্যেই শেষ হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইরাওয়ান বলেন, "এক ভবন থেকে হওয়া এ নিহতের সংখ্যা চলতি ২০২৫ সালে হওয়া সব দুর্যোগগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। প্রাকৃতিক বা যে কোনো দুর্যোগের তুলনায় সিদোয়ারজোয় এক ঘটনায়ই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে।"

তবে, একই সংবাদ সম্মেলনে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা বুদি ব্রাহ্মানত্য জানিয়েছেন, আরও পাঁচটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে, ফলে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৪ জনে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা কমলা রঙের বডি ব্যাগে করে মৃতদেহ সরিয়ে নিচ্ছেন—এমন দৃশ্য উদ্ধার সংস্থার শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটির ধসে পড়ার প্রধান কারণ ছিল দুর্বল ভিত্তি। দুর্বল ভিত্তির ওপর অতিরিক্ত আরেকটি তলা নির্মাণের ভার সেটি বহন করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, আল খোজিনির মতো ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসাগুলো স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ নামে পরিচিত। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়ায়, যেখানে দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এমন প্রায় ৪২ হাজার ‘পেসানত্রেন’-এ ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.