মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতির আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৬৫ জন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর আগে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনায় হামাস আংশিকভাবে সম্মতি জানায়। কিন্তু ট্রাম্পের সেই আহ্বানের পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও হুমকি থামেনি।
হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের গাজা নগরীর উত্তরাঞ্চলে ফিরে না আসতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা এই অঞ্চলটিকে একটি ‘বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র সতর্কতামূলক পোস্ট করেছেন। পোস্টে বলা হয়েছে, "গাজা উপত্যকার সব বাসিন্দার জন্য জরুরি ঘোষণা ও সতর্কবার্তা। ওয়াদি গাজার উত্তরের এলাকাটি এখনো একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র। এই এলাকায় থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দক্ষিণে যেতে হলে আপনাদের জন্য রশিদ স্ট্রিট খোলা রয়েছে।"
নিজেদের সুরক্ষার জন্য ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফেরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, উপত্যকার কোনো স্থানে—এমনকি দক্ষিণেও—প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযানের এলাকার কাছে আসা উচিত হবে না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৭ হাজার ৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৩০ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মাটির নিচে চাপা পড়া বা ধ্বংসস্তূপের কারণে নিহত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।