ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে গাজায় সামরিক অভিযান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এই নির্দেশনার ফলে গাজা সিটি দখলের চলমান অভিযান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর প্রতিবেদক দোরোন কাদোশ এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামরিক বাহিনীকে এখন থেকে গাজায় অভিযান 'ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে' এবং 'শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ড' চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এক্সে (পূর্ববর্তী টুইটার) তিনি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেন, "অর্থাৎ, গাজা সিটি দখলের অভিযান এখন থেমে গেছে এবং আপাতত বন্ধ রয়েছে।"
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সামরিক অভিযান কমানোর এই নির্দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অংশ। এটি মূলত জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার একটি পদক্ষেপ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধান আইয়াল জামির রাতভর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে 'বিশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন বৈঠক' করেছেন। বৈঠকের পর সেনাপ্রধান রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ অনুযায়ী 'জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি বাড়াতে' নির্দেশ দিয়েছেন।
সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাহিনীর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, "সব সামরিক সক্ষমতা সাউদার্ন কমান্ডে নিয়োগ করা হবে যেন ইসরায়েলি বাহিনী সুরক্ষিত থাকে।" এটি ইঙ্গিত দেয় যে অভিযান কমলেও সীমান্ত সুরক্ষায় কোনো ঢিলেমি দেওয়া হবে না।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। তারা বাকি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে, তবে মুক্তি প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য শর্ত নিয়ে আরও কিছু আলোচনার বিষয় রয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
এই ঘটনাপ্রবাহ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমন এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়ার একটি নতুন দিকের ইঙ্গিত দিচ্ছে।