জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি তার পূর্বসূরিদের সমালোচনা করেন, নানা বাণিজ্য চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করেন এবং ফিলিস্তিনকে পশ্চিমাদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্প তার ভাষণের শুরুতেই সাবেক মার্কিন প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তার পূর্বসূরি একের পর এক ‘বিপর্যয়ের’ জন্য দায়ী। তার আট মাস মেয়াদের পর যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত দেশ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্পের ভাষায়, "এটি নিঃসন্দেহে আমেরিকার সোনালি যুগ।"
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যে উচ্চহারে শুল্কারোপের পর ‘ঐতিহাসিক সব বাণিজ্য চুক্তি’ করার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণযুগ পার করছে। এসব চুক্তির মধ্যে তিনি প্রথমেই যুক্তরাজ্যের কথা উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই প্রথম বাণিজ্য চুক্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের সঙ্গেও বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপি’র ২% থেকে ৫% বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি তার অনুরোধেই হয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ভাষণে ট্রাম্প জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ তার সম্ভাবনার কাছাকাছিও কাজ করতে পারছে না। "জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কী?" প্রশ্ন রেখে ট্রাম্প বলেন, "তাদের বুলি ফাঁকা, ফাঁকা বুলিতে যুদ্ধের সমাধান হয় না। জাতিসংঘ এখানে আমাদের জন্য নেই।"
তিনি আরও দাবি করেন, জাতিসংঘ নয়, বরং তিনিই সাতটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে: কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, কসোভো-সার্বিয়া, পাকিস্তান-ভারত, ইসরায়েল-ইরান, মিশর-ইথিওপিয়া, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান এবং কঙ্গো-রুয়ান্ডার যুদ্ধ। ট্রাম্প বলেন, "অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট এমন কিছু করতে পারেননি।"
ভাষণে ট্রাম্প গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আলোচনার পক্ষগুলোকে "এবার চুক্তি করতেই হবে।" সম্প্রতি কয়েকটি শক্তিশালী দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটি হামাসের নৃশংসতার পুরস্কার।" ট্রাম্পের মতে, হামাসের মুক্তিপণ দাবির কাছে মাথা নত না করে যারা শান্তি চায়, তাদের এক হয়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সোচ্চার হতে হবে।
বিষয় : ভাষণ জাতিসংঘ ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণযুগ
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh