× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি: চার দেশের পর আরও ৬ দেশ পথে, চাপে ইসরায়েল

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক:

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫০ পিএম । আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫০ পিএম

জাতিসংঘ। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নতুন ঢেউ উঠেছে। সম্প্রতি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং পর্তুগাল এই স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর আরও ছয়টি দেশ একই পথে হাঁটছে। এই পদক্ষেপ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চার দেশের পর আরও ৬ দেশ

রোববার পর্যায়ক্রমে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং সর্বশেষ পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো র‍্যাঙ্গেল বলেন, "ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক ও স্থায়ী অংশ। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ন্যায্য ও টেকসই শান্তির একমাত্র পথ। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।"

এই চার দেশের পর আরও ছয়টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। দেশগুলো হলো: বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন। সোমবার জাতিসংঘের এক বিশেষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্স ও সৌদি আরব এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আপত্তি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র "লোক দেখানো" হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান, তারা "গুরুতর কূটনীতির ওপর" মনোযোগ দিয়েছেন, যা জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং হামাসমুক্ত অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের ওপর ইউরোপীয় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং এমনকি জাতিসংঘ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। ইসরায়েলি সরকারের নীতি দুই রাষ্ট্র সমাধান ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই স্বীকৃতি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র গঠনের বৈধ আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

আন্তর্জাতিক চাপ ও সহযোগিতা

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই ঢেউয়ের পেছনে ফরাসি উদ্যোগকে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আরব রাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য একটি সংস্কারকৃত ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠন, যারা গাজায় নেতৃত্ব দেবে।

ইউরোপের কিছু দেশ, যেমন ইতালি ও জার্মানি, এখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দিলেও তাদের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে, ফ্রান্স, সৌদি আরব, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।

যদি ইসরায়েল পশ্চিম তীরে দখল আরও বাড়ায়, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়বে। ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাত সতর্ক করে জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে দখল বৃদ্ধি আঞ্চলিক অখণ্ডতার সব সম্ভাবনা শেষ করে দেবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.