কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় কড়া বার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই প্রতিষ্ঠা পাবে না।
নেতানিয়াহু তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন, "২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পর যে নেতারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার স্পষ্ট বার্তা— আপনারা সন্ত্রাসবাদকে এক বিশাল পুরস্কার দিচ্ছেন।"
তিনি আরও বলেন, "আপনাদের জন্য আমার আরও একটি বার্তা আছে: এটি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্র) কখনো ঘটবে না। জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই প্রতিষ্ঠা পাবে না।" নেতানিয়াহু দাবি করেন, তিনি বহু বছর ধরে চাপের মুখে একটি 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠা ঠেকিয়ে রেখেছেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করার পাশাপাশি নেতানিয়াহু জানান, জুডিয়া (জেরুজালেমের শহর) এবং সামারিয়ায় (পশ্চিম তীরের নাবলুসের কাছের শহর) ইহুদি বসতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা বসতি সম্প্রসারণ করে যাব।"
নেতানিয়াহু ছাড়াও ইসরায়েলের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নেতানিয়াহু সরকারের দুই কট্টরপন্থী মন্ত্রী— জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতমার বেন গাভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ— ইসরায়েলকে পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব দাবি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ এই পদক্ষেপকে একটি 'খারাপ পদক্ষেপ' বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য নেতানিয়াহু সরকারকেই দায়ী করেন। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, "যে সরকার আমাদের দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ নিরাপত্তা বিপর্যয় ডেকে এনেছিল, তারাই এখন আমাদের ওপর এযাবৎকালের সবচেয়ে মারাত্মক কূটনৈতিক সংকটও ডেকে আনছে।"
ইসরায়েলের আরেক রাজনৈতিক নেতা ইয়ার গোলানও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে ইসরায়েলের সরকারের রাজনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে সমালোচনা করেছেন এবং এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ধ্বংসাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন।