ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল। আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি কার্যকর হবে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা আরও বাড়ল।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে গত বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে একযোগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও পর্তুগাল এ বিষয়ে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি দেশই এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দেশগুলোর বেশিরভাগই একসময় কমিউনিস্ট শাসনাধীন ছিল। সুইডেন ও সাইপ্রাসও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেনের বামপন্থী সরকার গত বছর অন্যান্য ইইউ সদস্য দেশকেও একই পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছিল। তখন পর্তুগাল বলেছিল, তারা অন্যান্য ইইউ দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি
২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে ‘সদস্য নয় এমন রাষ্ট্র’ হিসেবে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিপুল বেসামরিক মানুষের মৃত্যু, অনাহার ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়েছে। পশ্চিমা অনেক দেশই এখন ইসরায়েলের কট্টরপন্থী মন্ত্রী ও বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার কথা ভাবছে। এই প্রেক্ষাপটে পর্তুগালের এই স্বীকৃতিকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ আগামী সপ্তাহেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে।