× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক চাপিয়ে দিলেন ট্রাম্প

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৩ এএম । আপডেটঃ ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৩:২৭ পিএম

ভারতের পতাকা, ডনাল্ড ট্রাম্প আর শুল্ক লেখা শব্দের একটি থ্রিডি-প্রিন্টেড মডেল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতকে ‘ভাল বন্ধু’ বললেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারলে দেশটির পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপতে পারে বলেই জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি,”—যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, চুক্তি না হলে দিল্লির জন্য কী বাড়তি শুল্ক আসছে?

ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশের জন্য ১ অগাস্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না হলে দেশগুলোর পণ্যে উচ্চহারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

গত কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে চলেছেন। তবে আদৌ বাণিজ্যচুক্তি হবে কি-না তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নিজের প্রত্যাশা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “আমরা দেখব কী হয়। ভারত আমাদের ভাল বন্ধু, কিন্তু তারা প্রায় অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক নেয়।”

“কিন্তু এখন আমি দায়িত্বে, আপনারা (ভারত) এটা করতে পারেন না,” বলেন তিনি। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছে বিবিসি।

শুল্ক হল—বিদেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর সরকারের ধার্য করা কর। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ভারতকে “শুল্কের রাজা” এবং “বাণিজ্যের বড় অপব্যবহারকারী” বলে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প।

তবে এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের জন্য নতুন শুল্কহার নির্ধারণ করে কোনো চিঠি পাঠায়নি; যা অন্যান্য এক ডজনের বেশি বাণিজ্য অংশীদারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প, যদিও পরে তা স্থগিত করা হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের কর্মকর্তারা দ্রুত একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, “আমরা ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি। সবসময়ই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।”

তবে তিনি এও বলেন, ভারত বহুদিন ধরেই ‘সুরক্ষাবাদী’ নীতিতে চলে এবং তারা নিজেদের অভ্যন্তরীন বাজারকে রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তার মধ্যে কৃষি ও দুগ্ধ খাতের বাজার উন্মুক্ত করা অন্যতম। কিন্তু ভারত এই দুই খাতে প্রবেশাধিকার দিতে বরাবরই অনিচ্ছুক। তারা খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষকের জীবিকা এবং লাখো ছোট চাষির স্বার্থের কথা বলে আসছে।

সম্প্রতি সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, “কৃষি খাত আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল, আমরা নিশ্চিত করব যেন কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।”

রয়টার্সকে দেওয়া আরেক বক্তব্যে গয়াল বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব চুক্তির পথে দুর্দান্ত অগ্রগতি করছি।”

যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সাল পর্যন্ত দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯০ বিলিয়ন ডলারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী তা বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন।

ভারত ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমিয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে বার্বন হুইস্কি ও মোটরসাইকেল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে এখনও ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি আছে যুক্তরাষ্ট্রের, যা কমাতে চান ট্রাম্প।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.