ফাইল ছবি
ভারতের বিরোধীদের চাপে লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় সরকার রাজি হওয়ার পর দুই দিন ধরে আলোচনা হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জবাব দিয়েছেন বিরোধীদের সব সমালোচনার। অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে মোদী বলেন, পাকিস্তানের সেনাশক্তি তছনছ করেছি। এটাই ছিল জবাব। আজ পাকিস্তান বুঝে গেছে, ভারতের সব জবাব আগের থেকে আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, সিঁদুর অভিযান জারি রয়েছে। পাকিস্তান দুঃসাহসের কল্পনা করলে জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, আজকের ভারত আত্মবিশ্বাসী। আত্মনির্ভর হয়েছে। দেশ দেখছে।
মোদী বলেন, ‘তৃতীয় কোনও দেশ ভারতকে যুদ্ধ থামাতে বলেনি। ৯ মে রাতে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেন। আমার সেনার সঙ্গে বৈঠক চলছিল। ফোন তুলতে পারিনি। পরে আমি ফোন করি। বলি, ৩-৪ বার ফোন করেন। তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি ওদের এই ইচ্ছা থাকে, তা হলে ভুগতে হবে। পাকিস্তান হামলা করলে, আরও বড় হামলা করে জবাব দেব। এই জবাব দিয়েছিলাম। আমরা গুলির জবাব গুলি দিয়ে দেব।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, দুর্ভাগ্য, কংগ্রেস এখন পাকিস্তানের থেকে বিষয় আমদানি করছে। সেনার মনোবল কমানোরও চেষ্টা চলছে। জনতার বিশ্বাস ভাঙানোরও চেষ্টা চলছে।
মোদী বলেন, বিদেশনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। অন্য সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন মিলেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য, বীরদের কংগ্রেসের সমর্থন মেলেনি। ২২ এপ্রিলের তিন চারদিন পর লাফাচ্ছিল। বলছিল, কোথায় গেল ৫৬ ইঞ্চির ছাতি। মোদী ফেল করে। খুব মজা পাচ্ছিল। রাজনীতি করছিল ওরা। স্বার্থের রাজনীতি করে আমাকে নিশানা করে। কিন্তু ওদের কথা, দেশের সেনার মনোবল কমিয়ে দিচ্ছিল। ভারতের সামর্থ, সেনায় ভরসা নেই কংগ্রেসের। তাই সিঁদুর অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এদিকে, লোকসভায় বিতর্কে অংশ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, কারও চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় রাজি না হয়ে থাকলে লোকসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যাবাদী। বলুন, তিনি বারবার অসত্য বলছেন। একই দাবি রাজ্যসভাতেও জানান বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সভায় জানিয়েছেন, ২২ মিনিটের অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সে দেশের সেনাঘাঁটি আক্রমণের লক্ষ্য নয়। ভারত উত্তেজনা ছড়াতে চায় না। কেন ওই বার্তা দেওয়া হয় প্রশ্ন তুলে রাহুল বলেন, ওইভাবে সেনাবাহিনীর হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর এই কারনেই ভারতের যা যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
