ফাইল ছবি
নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় সেখানকার একটি আদালত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম— কাঠমান্ডু পোস্ট।
তবে এয়ারলাইন্সটি বলছে, এ ধরনের রায়ের কোনো অনুলিপি তারা এখনো হাতে পায়নি।
২০১৮ সালে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজে থাকা ৭১ আরোহীর ৫১ জন নিহত হন।
কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, প্রায় সাত বছর মামলা চলার পর গেল রোববার ক্ষতিপূরণের রায় আসে।
রায়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বীমা কোম্পানি থেকে প্রতি পরিবারকে ২০ হাজার ডলার করে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাইরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে মোট ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে।
তবে নেপালের আদালতে এমন কোনো রায় আদৌ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বলছে, তাদের বিরুদ্ধে একটি আদালতে রায় হয়েছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে তারা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশ বা আদালতের রায় সংক্রান্ত তথ্য পায়নি।
শনিবার এক বার্তায় এয়ারলাইন্সটি বলেছে, “আমাদের লিগ্যাল টিম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে যাচাই করছে। যদি এমন কোনো রায় থেকে থাকে, তা আইনিভাবে বিশ্লেষণ করে যথা সময়ে গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট মহলকে জানানো হবে।”
এর আগে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “সম্প্রতি নেপালের কোনো আদালতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের রায় দেয়নি। কাঠমান্ডু পোস্টের এ ধরনের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা’ ও ‘কল্পনা প্রসূত’।”
আদালতের কোনো নিশ্চিত তথ্য বা রায়ের অনুলিপি ছাড়া আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধও জানায় ইউএস-বাংলা।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, নেপালের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায়ের রায় পেল।
এর আগে কোনো বিমান সংস্থাকে এভাবে দায়ী করা হয়নি বলেও তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
কাঠমান্ডু জেলা আদালত এ রায় দিয়েছে তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স চাইলে এখন উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে।
কাঠমান্ডু জেলা আদালতের তথ্য কর্মকর্তা দীপক কুমারের বরাতে খবরে বলা হয়, রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত অনুলিপি পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
এ মামলার বিচারক ছিলেন দিবাকর ভট্ট। নিহত ১৬ যাত্রীর পরিবার ও একজন জীবিত যাত্রীর পক্ষে এ মামলা করা হয়।
২০১৮ সালের ১২ মার্চ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।
৭৬ আসনের কানাডার তৈরি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে ঘটনাস্থলেই ৫১ জন প্রাণ হারান।
নিহতদের মধ্যে ২২ জন ছিলেন নেপালের নাগরিক, ২৮ জন বাংলাদেশি এবং একজন চীনা নাগরিক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
