× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভারতে বাংলাদেশী চ্যানেল বন্ধ: ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপের কথা বললেন বিশেষ সহকারী

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১০ মে ২০২৫, ১৪:০৪ পিএম । আপডেটঃ ১০ মে ২০২৫, ১৮:৩৬ পিএম

ইউটিউব। ছবি: সংগৃহীত

৪টি নয়, এখন পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ইউটিউব। বাংলাদেশের এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না ভারত থেকে।

জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত সরকারের অনুরোধের পর এ পদক্ষেপ নেয় ইউটিউব। এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে। যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ। তথ্যব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিস ল্যাব গতকাল শুক্রবার জানিয়েছিল যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার ভারত থেকে বন্ধ করেছে ইউটিউব।

শনিবার ডিসমিস ল্যাব তাদের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের আরও দুটি টেলিভিশন চ্যানেল-সময় টিভি এবং ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচারও ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এই ছয়টি চ্যানেলই ইউটিউব ভেরিফায়েড (স্বীকৃত)। এদের মোট সাবস্ক্রাইবার ৫ কোটি ৪২ লাখের বেশি।

ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই টিভিগুলোর ইউটিউব চ্যানেলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রবেশ করতে গেলে লেখা আসে, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে ফয়েজ আহমদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তত ৪টি টিভি স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ব্রডকাস্ট মিডিয়ামের ভৌগোলিক লোকেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্লক করায় ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন কাজ কনজিউমার রাইটসের (ভোক্তা অধিকার) আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ বলেই প্রতীয়মান। আমরা ইউটিউবের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যেই ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এসব চ্যানেল বৈধভাবে সম্প্রচার করে আসছে এবং কোনো ধরনের ভুয়া তথ্য বা উসকানিমূলক কনটেন্ট (আধেয়) প্রচারের প্রবণতা নেই।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, ইউটিউব যদি বন্ধের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা ভারতের রাজনৈতিক পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশও একই পদক্ষেপ নেবে। কারণ বাংলাদেশ এসবের মধ্যে জড়াতে চায়নি।

বাংলাদেশের পদক্ষেপের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, রিপাবলিক বাংলাসহ ভারতের কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে আসছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। তাই প্রয়োজনে এসব চ্যানেলের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশও অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.