× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত, প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৬ এএম । আপডেটঃ ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০০:৪৭ এএম

ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হুমকির পর গাজাবাসী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যাচ্ছেন। শেজায়া এলাকা। ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে। এর মধ্যে গাজা সিটি স্কুলে হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, গাজার উপত্যকার অন্তত দুই–তৃতীয়াংশ জায়গায় এখন আর কোনো ‘নিরাপদ’ অঞ্চল নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের নির্বিচার ও নৃশংস হামলার জেরে গাজার হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ও আশ্রয়শিবির ছেড়ে পালাচ্ছেন। এতে গাজায় আবার বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন করে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করা রাফাহ শহরের দিকে ইসরায়েলি বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। তারা এই শহর দখল করতে চায় বলে খবরে জানানো হয়।

বিপুলসংখ্যক গাজাবাসীর আশ্রয় নেওয়া রাফাহ দখলের ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরের দিকে অঞ্চল অগ্রসর হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার গাজাবাসীর শেষ আশ্রয়স্থল ছিল রাফাহ।

মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের নৃশংস ও নির্বিচার হামলায় ১১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা শহরের উত্তরের শহরতলী শেজায়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গতকাল বিকেলের দিকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় নারী, শিশুসহ ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

তবে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বিত লাহিয়ায় খাবারের জন্য ভিড় করছে মরিয়া ফিলিস্তিনি শিশুরা।বিত লাহিয়া। রয়টার্স


চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন, গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় দার আল-আকরাম স্কুলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

রাফাহ থেকে পাশের খান ইউনিসে আশ্রয় নেওয়া সাত সন্তানের এক বাবা একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, রাফাহ শেষ। সেখানকার সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাবা বলেন, রাফাহতে যে কয়টি ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি দাঁড়িয়ে আছে, সে সবকিছু তারা ধ্বংস করে ফেলছে।

গাজায় বন্দী ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি এবং ইসরায়েলি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন ইসরায়েলিরা। ছবি: রয়টার্স


ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গত মাসে আবার গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর রাফাহ দখল করতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা শহরের উত্তরের শেজায়া এলাকা থেকে বাসিন্দাদের চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল প্রাণভয়ে ওই এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে, অনেকে গাধার গাড়ি আবার অনেকে মোটরসাইকেল ও ভ্যানে চড়ে পালাচ্ছেন।

সেখানকার বাসিন্দা উম্ম আয়েদ বারদা বলেন, ‘আমি মরতে চাই। তাদের আমাদের মেরে ফেলতে এবং এই জীবন থেকে মুক্তি দিতে দিন। আমরা এমনিতে বেঁচে নেই। আমরা মৃত।’

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.