× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইরানকে নতুন পরমাণু চুক্তি করতে দুই মাস সময় দিলেন ট্রাম্প

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

২০ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ এএম । আপডেটঃ ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে) ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স

নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হতে ইরানকে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে একটি চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। এতে তেহরান ব্যর্থ হলে সামরিক পথে হাঁটতে পারে ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের চিঠি সম্পর্কে জানেন এমন এক কর্মকর্তা সিএনএনকে এসব কথা বলেছেন।

খামেনিকে চিঠি লেখার আগে থেকেই ইরানের সঙ্গে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির কথা বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ওয়াশিংটন।

খামেনিকে লেখা ট্রাম্পের চিঠি গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে হস্তান্তর করেছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য–বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। চিঠিটি পরে ইরানি কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ইউএই।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যে বিরোধ চলছে, তা শিগগির কূটনৈতিকভাবে মীমাংসা করতে চান ট্রাম্প। তিনি চিঠিতে এই কথা আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে স্পষ্ট করেছেন। তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বিরোধ মেটার অন্যান্য উপায় রয়েছে।’ন

চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে সবার আগে প্রতিবেদন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। দুই প্রেসিডেন্টের আলাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প ও পুতিন ‘ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ঠেকাতে মিলেমিশে কীভাবে কাজ করা যায়, তা নিয়ে মোটামুটিভাবে আলোচনা করেছেন। কৌশলগত অস্ত্রের সমৃদ্ধি না বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, এটা নিশ্চিত করতে অন্যদের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।’

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দুই নেতা মনে করেন, ইরানকে কখনো ইসরায়েলকে ধ্বংস করার মতো অবস্থানে পৌঁছাতে দেওয়া যাবে না।’

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, ‘ইরান দুটি কাজ করতে পারে: সামরিক সংঘাতের কথা ভাবতে পারে, অথবা চুক্তি করতে পারে। আমি চুক্তি করা পছন্দ করি। কারণ, আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না।’

ফক্স নিউজকে ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, আপনারা [ইরান] আলোচনায় রাজি হবেন। এটা ইরানের জন্য অনেক বেশি মঙ্গলজনক।’

নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করতে রাজি না হলে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর সামরিক হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। এটা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র করতে পারে, অথবা ইসরায়েলও করতে পারে।

প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখনই ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।

দ্বিতীয় মেয়াদেও ট্রাম্প ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইরানকে একঘরে করাই এই নীতির উদ্দেশ্য।

খামেনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘ভয় দেখিয়ে আলোচনায় বাধ্য করাতে চাইলে সমস্যার সমাধান হবে না। এর মাধ্যমে তারা [যুক্তরাষ্ট্র] আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং আমাদের ওপর তাদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দিতে চায়।’

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.