যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ফেরার একদিন আগে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় এক সমাবেশে গর্জনরত হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনের প্রচার চলাকালে দেওয়া মূল প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও প্রত্যয় জানান তিনি।
‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নামের এ সমাবেশে তিনি বলেন, “আগামীকাল সূর্যাস্তের সময় আমাদের দেশের আক্রমণ থেমে যাবে।”
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পুনরুক্তি করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতারণ প্রচেষ্টা শুরু করার প্রত্যয় জানান।
রয়টার্স লিখেছে, এ উদ্যোগ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাখ লাখ অভিবাসীকে তাড়ানো হতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও বাস্তবায়নে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও ভবিষ্যৎ এই প্রেসিডেন্ট উপস্থিত সমর্থকদের উল্লসিত করতে বড়াই, মিথ্যা দাবি ও একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।
তিনি বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন আর ৭৫ দিন আগে আমরা আমাদের দেশের সবচেয়ে মহাকাব্যিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। আগামীকাল থেকে শুরু করে আমি প্রবল গতি নিয়ে কাজ শুরু করবো আর আমাদের দেশের প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করবো।”
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির পর এই প্রথম ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি বড় কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই বক্তৃতার পর তার ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একটি অংশ র্মাকিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ১৫০০ জনেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে; এদের অনেককেই ক্ষমা করে দেবেন বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন।
এই সমাবেশে তার দেওয়া বক্তৃতা ও সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দিতে যাওয়া বক্তৃতাতে ট্রাম্পের এবারের মেয়াদের সুরটির পরিষ্কার পূর্ব ধারণা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল অধিগ্রহণের কথা বলে এবং প্রতিবেশী কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা হবে, এমন মন্তব্য করে মিত্র বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে বিভ্রান্ত করে রেখেছেন।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের ‘প্রত্যেকটি মৌলবাদি ও নির্বোধ নির্বাহী আদেশ’ বাতিল করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিকল্পনার বিষয়ে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার ট্রাম্প ২০০টিরও বেশি নির্বাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh