যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন অভিষেকের প্রস্তুতি চলার মাঝেই বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভে জড়ো হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। কেবল ওয়াশিংটন ডিসিতেই নয়, গোটা দেশজুড়েই এমন বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ পদযাত্রা শনিবারই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিক্ষোভ আয়োজকদের হিসাবমতে, এই পদযাত্রায় যোগ দিতে পারে ৫০ হাজার পর্যন্ত মানুষ।
তবে পুলিশের ধারণা, মোট মানুষের সংখ্যা হতে পারে ২৫ হাজার। ওয়াশিংটনে শনিবারের বিক্ষোভের আয়োজকরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি নিয়েছেন। এর মধ্যে আছে- জলবায়ু সংকট, অভিবাসন, নারী অধিকারসহ আরও নানা বিষয়।
আয়োজকরা বলছেন, সবাই মিলে ‘ট্রাম্পইজম’ (ট্রাম্পের ভাবাদর্শ) মোকাবেলা করাটাই আজকের বিক্ষোভের মূল বিষয়। বিবিসি জানায়, ওয়াশিংটন ডিসি’র লিংকন মেমোরিয়ালের দিকে পদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। তিনটি স্থান থেকে পদযাত্রা করে মানুষ সেখানে জড়ো হচ্ছে।
ফলে বিক্ষোভে ধীরে ধীরে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। পদযাত্রায় যোগ দেওয়া এক নারী বলেন, মানুষ এখনও ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার প্রয়োজন বোধ করবে বলেই তিনি আশা করেন।
তার মতে, ট্রাম্পের এবারের প্রেসিডেন্সির মেয়াদে ঝুঁকি আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি। কারণ, ট্রাম্প এবার আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন। ধনকুবের শ্রেণির মানুষকে তার পাশে পেয়েছেন। এই নারী বলেন, “আমরা এখনও এখানে আছি, আমরা প্রতিহত করব।”
মানুষের বিক্ষোভ পদযাত্রা শুরুর স্থানগুলো হল: ফারাগুট স্কয়ার- গণতন্ত্র, অভিবাসন, সামরিকবাদ-বিরোধীতা এবং জলবায়ু প্রশ্নে বিক্ষোভ করে আসা গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগ দেবেন এই স্কয়ার থেকে যাত্রা করা মানুষেরা।
মেকফেরসন স্কয়ার: এই স্কয়ার থেকে যাত্রা করা মানুষেরা ওয়াশিংটনের নানা সমস্যা, ফিলিস্তিনি ইয়ুথ মুভমেন্ট ডিসি এবং অন্যান্য আরও নানা সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগ দেবে।
ফ্র্যাঙ্কলিন পার্ক: এই স্থান থেকে যাত্রা করা মানুষেরা সামিল হবে গর্ভপাতের অধিকার, লিঙ্গ বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিক্ষোভ করে আসা গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে।
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh