ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি নিয়ে আইনি টানাপোড়েনের দরুণ এবার তথ্য জানার অধিকার আইনের (RTI) এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তৃতীয় পক্ষের কৌতূহল মেটানোর জন্য আরটিআই-এর প্রবর্তন হয়নি। মোদির ডিগ্রি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পক্ষে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আরটিআই-এর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। মোদির ডিগ্রি বিতর্কে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দিল্লি হাইকোর্টে।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাস করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এভাবে দেয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান আরটিআই কর্মী
আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাস করা সব পড়ুয়ার তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাস করা পড়ুয়াদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই মোদিও স্নাতক হন। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।
সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, আরটিআই-এর অপব্যবহার করা যায় না। এর সঙ্গে সরকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা এবং সরকারের জবাবদিহির দায়বদ্ধতা একেবারেই সংযুক্ত নয়। তাই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে আরটিআই-এর অপব্যবহার করা যাবে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে