বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া আসাদকে পরিত্যাগ করাতেই তার পতন হয়েছে।
রোববার ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে লেখেন, "আসাদ চলে গেছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার রক্ষক, ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া তাকে আর রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না।
“সিরিয়ার সংঘাতে প্রথমদিকে রাশিয়া জড়িত ছিল না। ইউক্রেইনের কারণে রাশিয়া সিরিয়ায় সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে… যে যুদ্ধ কখনও শুরু হওয়া উচিত ছিল না,” লেখেন ট্রাম্প।
বিদ্রোহী যোদ্ধারা যখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ঢুকছিল, ঠিক তখন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ থেকে পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ৫৩ বছরের আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান হয়েছে। দামেস্কের আগে আলেপ্পো, হামা এবং হোমসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বিদ্রোহীরা।
আসাদের পতনের জেরে রোববার খুশিতে রাস্তায় নেমে আসে সিরীয়রা। সেনাবাহিনীর ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেন অনেকে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে উল্লাসে মাতে সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন দেশের নেতাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আসাদের এই পতন নিয়ে মন্তব্য করলেন। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ২০ জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।
ট্রুথ স্যোশালে তিনি বলেন, আসাদের আরেক মিত্র ইরানও এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলকে মোকাবেলা করতে গিয়ে ইরান দুর্বল হয়েছে। আর রাশিয়া দুর্বল হয়েছে ইউক্রেইন আর অর্থনৈতিক দৈনদশার কারণে।
ইউক্রেইন যুদ্ধ রাশিয়া ও কিইভ উভয়ের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, “ইউক্রেইনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত। আমি ভ্লাদিমিরকে ভালো করে চিনি। এখন পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। চীন সহায়তা করতে পারে। বিশ্ব অপেক্ষায় আছে।”