রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর এমন মন্তব্য করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমা ব্লকের অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় মস্কোর পাল্টা হামলা আরও তীব্র হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন পুতিন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জবাবে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় নতুন ধরনের হাইপারসনিক মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। এই হামলা আরও তীব্র হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। তবে এমন ভারী হামলার আগে ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণকে সতর্ক করা হবে। পুতিন বলেন, বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদনের পর ১৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এর দুই দিন পর বৃটিশ নির্মিত স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিয়েও রাশিয়ায় আঘাত হেনেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের এই হামলার পরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আঞ্চলিক থেকে বৈশ্বিক যুদ্ধে রূপ নিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, এই সংঘাতকে যুক্তরাষ্ট্রই বৈশ্বিক দ্বন্দ্বের দিকে উস্কে দিচ্ছে। ইউক্রেনের হামলা দৃঢ় হলে প্রতিক্রিয়ায় কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। ২০২২ সালে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার হামলাকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছে কিয়েভ এবং যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা ব্লকের ধারণা পুতিন যদি ইউক্রেনে জয়ী হয় তাহলে তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতেও তার সাম্রাজ্যবাদী থাবা বসাতে পারে।