× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইসরাইল কি যুদ্ধ বন্ধ করবে গাজায়?

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৭ পিএম । আপডেটঃ ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২:২৩ পিএম

গাজায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ফাইল ছবি»›এপি

গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও একই দাবি করেছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি সত্য হলে এর প্রভাব কী হবে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনা চলছে। হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করলেও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটের অবসান হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের অবসান ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত সতর্কতা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সিনওয়ারের মৃত্যুতে ইসরায়েল নিজেদের বিজয় ঘোষণা করলেও যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না দেশটি। যদিও হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাদের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ও অভিযান গাজায় প্রয়োজনমতো চলবে। এছাড়া গাজার রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনার জন্য এখনও কোনও গ্রহণযোগ্য সমাধান পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েল ইতোমধ্যে লেবাননে হিজবুল্লাহ ও অঞ্চলজুড়ে ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ তিনি মনে করেন ইসরায়েল শক্ত অবস্থানে রয়েছে। চলতি মাসে ইরান থেকে ছোঁড়া ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য এখনও পাল্টা আক্রমণ করা হয়নি। তবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হতে পারে।

সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজনৈতিক মহলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কৌশলগত সাফল্যের পর ইসরায়েল নিজেদের প্রতিরোধ সক্ষমতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। এই সক্ষমতা তাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

সিনওয়ারের মৃত্যুতে হামাসের নেতৃত্বে আরও একটি বড় আঘাত আসবে। তিনি গাজায় হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন। কিছু দিন আগেই ইসমাইল হানিয়াহর স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। তেহরানে একটি বোমা বিস্ফোরণে হানিয়াহ নিহত হন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা ও বৈরুতে হামাসের অন্যান্য নেতাও নিহত হয়েছেন। সিনওয়ারকে শহীদ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। তার মৃত্যুকে নতুন স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপ্রাণিত করতে ব্যবহার করতে পারে গোষ্ঠীটি। তবে এর মাধ্যমে নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

গাজায় হামাসের নতুন নেতা হতে পারেন সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ। তিনি হয়তো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কম সশস্ত্র প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবেন। তবে তার নেতৃত্বে সংগঠনকে একত্রিত রাখা কঠিন হতে পারে। সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাদের নতুন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা যেকোনও সময় শীর্ষ নেতাদের খুঁজে বের করতে সক্ষম—এই চাপে তা আরও জটিল হয়ে উঠবে।

ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করা হচ্ছিল। তবে সিনওয়ারের মৃত্যুর ফলে তার রাজনৈতিক অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতার হত্যার মতো সাম্প্রতিক সাফল্য ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে।

সিনওয়ারের মৃত্যু যুদ্ধবিরতি আলোচনায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিতে পারে। তবে তার উত্তরসূরি আলোচনায় সহমত হবেন কিনা তা অনিশ্চিত। নেতানিয়াহু বরাবরই বলেছেন, সামরিক চাপের মাধ্যমেই গাজায় আটক ১০০ জনের মতো জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.