সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এবার গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)।
হাসপাতালটির দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল তদন্ত সংস্থাটি। শনিবার ধর্ষণ ও খুনের মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হল কারাগারে থাকা অধ্যক্ষকে।
সন্দীপের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা নিতে দেরি করা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আছে।
এর আগে ওই শিক্ষানিবশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রেপ্তারের পর থেকে ওই ব্যক্তি সিবিআইয়ের হেফাজতেই আছেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
সব নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপের গ্রেপ্তারের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই নগরীর সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে টানা ধর্মঘট করতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।
ভারতের আইন প্রয়োগকারী ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার সন্দীপের পৈতৃক বাড়ি ও তার ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের দপ্তর ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দুর্নীতি মামলায় আগে থেকেই গ্রেপ্তার সন্দীপ আদালতের নির্দেশ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ আছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপকে কারা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাসপাতালটিতে শিক্ষানবীশি এক তরুণী নারী চিকিসৎকে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে খুনের মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সন্দ্বীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, এরপর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সন্দ্বীপ।
আরজি করের ওই ঘটনার ৩৫ দিন পার হওয়ার পর সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্র্থী ও ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে বিচারের দিকে ‘এক পা’ এগোন গেল বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু সন্দীপকে গ্রেপ্তার করতে ‘৩৫ দিন কেন লাগল’ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিষয় : খুন ধর্ষণ নারী চিকিৎসক কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত সাবেক অধ্যক্ষ
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh