কেনেডি | ছবি—সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ানো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানায়, শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর কেনেডি একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দেন।
পরে সমাবেশে ট্রাম্প কেনেডিকে পেয়ে উচ্ছাসিত হয়ে তার খুব প্রশংসা করেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করন, কেনেডির সমর্থন ট্রাম্পকে খুব বেশি সাহায্য করতে নাও পারে, কারণ কেনেডির জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ৭০ বছর বয়সী কেনেডি বলেন, ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোর কিছু বিশেষ কারণ আছে। তিনি ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছেন। সীমান্ত নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা এবং যুদ্ধ বন্ধ করার মতো বিষয়ে ট্রাম্প এবং কেনেডি এক মত হলেও তিনি স্বীকার করেছেন যে কিছু বিষয়ে তাদের মধ্যে এখনও মতের অমিল রয়েছে।
কেনেডিকে মঞ্চে রেখে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউস ফিরে পেলে তিনি গুপ্তহত্যা প্রচেষ্টার বিষয়ে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন গঠন করবেন এবং ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করবেন।
কেনেডি বলেন, তিনি দশটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ব্যালট থেকে তার নাম সরিয়ে নেবেন, তবে অন্যান্য রাজ্যে তিনি প্রার্থী থাকবেন।
তিনি বিখ্যাত ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
এমনকি কেনেডির বোন তার এই সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুদ্ধ। বোন কেরি কেনেডি বলেন, ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন করা মানে আমাদের পরিবারের মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
তবে জুনিয়র কেনেডি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য বেশ কঠিন ছিল কারণ এই সিদ্ধান্তের প্রভাব তার পরিবারের উপর পড়ছে।
পরিবেশ আইনজীবী, টিকা-বিরোধী আন্দোলনকারী এবং ১৯৬০-এর দশকে নিহত দুই প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট নেতার ছেলে ও ভাতিজা, রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছিলেন।
সেই সময় অনেক ভোটার বাইডেনের বয়স এবং ট্রাম্পের আইনি ঝামেলার কারণে বিরক্ত ছিলেন, ফলে কেনেডির প্রতি আগ্রহ বাড়ে। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরের বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপকারী সংস্থা ইপসোসের একটি জরিপে দেখা যায়, বাইডেন ও ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কেনেডির সমর্থন ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী এই পরিবারের সদস্য কেনেডি, প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির ভাতিজা এবং মার্কিন সেনেটর রবার্ট এফ. কেনেডির ছেলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh