নেপালে ভারত থেকে আসা যাত্রী বহনকারী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, বাসে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। বাসটি নেপালের পোখরা থেকে রাজধানী কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। সে সময় তানাহুন জেলার মারস্যাংদি নদীতে পড়ে যায় বাসটি।
নদীর তীরের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। দুর্ঘটনার কারণ ও হতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসটি একটি পাহাড়ি ঢালের নিচে খরস্রোতা নদীর ধারে পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা যাত্রীদের খুঁজছেন। নেপালের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি চিকিৎসক দল দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তানাহুন জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা দীপকুমার রায়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই বার্তা সংস্থা বলেছে, বাসটির নাম্বারপ্লেটে লেখা ছিল ইউপি এফটি ৭৬২৩। গাড়িটি নিবন্ধন করা আছে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছেন, বাসের দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের কেউ কেউ এই রাজ্যের বাসিন্দা।
নেপালে পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার বাস রুট ভারতীয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সড়ক ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং পার্বত্যাঞ্চলে সরু রাস্তার কারণে নেপালে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গত জুলাইয়ে ভূমিধসে দুটি যাত্রীবাহী বাস ত্রিশূলী নদীতে পড়ে কয়েক ডজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন।