গাজায় ১০ মাসের বেশি সময় অবিরাম ইসরায়েলি হামলার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন দফায় আলোচনার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারীরা।
গত ৯ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি এবং কাতারের আমির আল থানির এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।
সেই বিবৃতিতেই আলোচনার দিন স্থির করা হয়েছিল এবং আলোচনা কায়রো কিংবা দোহায় হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের। গতবছর নভেম্বর থেকেই এই তিন দেশ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করে আসছে।
মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দোহার বৈঠকে অংশ নিচ্ছে ইসরায়েলও। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনও উপসংহার টানা এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তি করার লক্ষ্র নিয়েই এ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। গাজায় হামাস যোদ্ধাদের হাতে এখনও ১১০ জিম্মি আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৩১ মে বাইডেনের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে দোহার বৈঠকে আলোচনা হবে- এমনটিই যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল মধ্যস্থাকারীরা।
যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার এই চেষ্টার মধ্যে ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই কিছু বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও হামাসের ওপর পূর্ জয় পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্প। ইসরায়েল চায় তাদের সেনাবাহিনী মিশরের সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখুক।
ওদিকে হামাস যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে বাইডেনের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা এবং ১০ জুনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাতেই অটল রয়েছে। আলোচনায় প্রস্তাবিত নতুন কোনও পরিকল্পনা চায় না তারা।