ঘরে নিজের চুল রং করা খরচ কমায়। তবে অসাবধানতায় পোশাক বা কাপড়ে সেই রং লেগে গেলে ওঠানোর ক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না।
কারণ যত সময় যাবে ততই রং পাকা হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে মার্কিন রূপসজ্জাকর অ্যামান্ডা লরেন বলেন, “পুরানো কালো টি-শার্ট পরেই না হয় ‘হেয়ার ডাই’ ব্যবহার করুন। তবে অসাবধানতায় কাপড়ে চুলের রং লেগে গেলে, ওঠাতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়।”
তবে মনে রাখতে রাখতে হবে কোনো কোনো রং ওঠানো সম্ভব হয় না। আবার নিচের পদ্ধতিগুলো হয়ত কয়েকবার খাটাতে হবে।
প্রথম ধাপ
রং লাগার সাথে সাথে শুষে নেওয়ার জন্য টিস্যু দিয়ে আলগোছে চেপে বাড়তি তরল উঠিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ঘষা যাবে না।
দ্বিতীয় ধাপ
যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিঅ্যান্ডজি ফেব্রিক কেয়ার’য়ের প্রধান গবেষক জেনিফার অ্যাহনি, কুসুম গরম পানি দিয়ে কাপড়ে রং লাগার জায়গাটি ধোয়ার পরামর্শ দেন।
তার কথায়, “জোরে প্রবাহিত কুসুম গরম পানির নিচে রং লাগার জায়গটা ধরে রাখতে হবে। ঘষামাজা করা যাবে না।”
তৃতীয় ধাপ
রং লাগার স্থানে কাপড় ধোয়ার তরল সাবান সরাসরি ঢেলে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ধুতে হবে জায়গাটি।
অ্যাহোনি বলেন, “যদি সাবানের গুঁড়া থাকে তাহলেও হবে।”
পানিতে সাবানের গুঁড়া মিশিয়ে কাপড় চুবিয়ে আলগোছে ঘষতে হবে চক্রাকারে। তারপর সেই অবস্থায় ভিজিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট।
চতুর্থ ধাপ
এবার সাধারণভাবেই কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশিরভাগ কাপড়ই ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া ভালো।
পঞ্চম ধাপ
ভালো মতো ধোয়ার পর যদি রং উঠে যায় তবে ওয়াশিং মেশিনে যাদের ‘ড্রায়া’র আছে সেটা ব্যবহার করে শুকিয়ে নিতে পারেন। অথবা রোদে মেলে দিতে হবে। সূর্যের আলোয় কাপড় সবসময় উল্টো করে শুকাতে পরামর্শ দেন, অ্যাহোনি।
ষষ্ঠ ধাপ
পরিষ্কারক-বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ মারিয়া মুনি একই প্রতিবেদনে বলেন, “যদি কাপড়টি সাদা বা ‘কালার সেইফ’ অর্থাৎ রং পাকা হয় তবে ‘কালার-সেইফ ব্লিচ’ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের পণ্য কাপড়ের ক্ষতি না করে রং হালকা করতে সাহায্য করে।”