চিকিৎসায় কোনো ধরনের গাফিলতি-অবহেলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী পাঠানোর বিষয়টি মেনে না নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। রোববার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা এমন একটা বিষয়, যেখানে অবহেলা কিংবা গাফিলতি করলে মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং এখানে দুবার চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি, কোনো অবহেলা আমি সহ্য করব না। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের সময় মতো আসার বিষয়টি মনিটর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেটে কর্মস্থলে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করেছি। আমার প্ল্যান আছে ঢাকার বাইরের কিছু হাসপাতালে আমি যাব। রূপগঞ্জে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু মুশকিল হয় কি, কোনো না কোনোভাবে জেনে যায় যে আমি আসব। মন্ত্রী যখন যায় তখন প্রটোকল এমন থাকে। আমি বলছিলাম দরকার হলে আমি সিএনজি করে যাই, তাও যাই। কিন্তু প্রটোকলের জন্য জেনে যায়। সেদিন ডাক্তাররা যথারীতি হাসপাতালে উপস্থিতিও থাকে।
হাসপাতালে সেবা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া, এটা আমি কিছুতেই মেনে নেব না। আমি আমার হাসপাতালগুলোকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করব। কিছু কিছু বিষয়ে আমাকে আরও কাজ করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে জরাজীর্ণ অবস্থা, হাসপাতালে ডাক্তার যে জায়গায় বাস করে সেটারও। এরই মধ্যে আমি স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে বলেছি, প্রতিটি উপজেলাকে যেন স্বাবলম্বী করা হয়। হাসপাতালের ভবন, ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা, ওটি —এগুলোকে যেন মানসম্মত করে দেওয়া হয়। তখন আমি ডাক্তারকে একটা প্রেশার দিতে পারব, যদি তিনি সেখানে না থাকেন। এখন তো গেলেই চিকিৎসক বলেন, স্যার থাকার জায়গা নেই।
ওষুধের দামের বিষয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না। আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি, ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।