ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা বা ব্যায়াম আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে, উচ্চ রক্তচাপ কমাবে, খারাপ কোলেস্টেরল কমাবে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়াবে, দুশ্চিন্তা কমাবে, মাসল ও হাড়ের শক্তি বাড়াবে; সর্বোপরি আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি করবে।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম নিয়ে সচেতন হতে হবে। তাহলে তিনি উপকার পাবেন।কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যালরি ক্ষয় হয়, যা অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়াম শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ছয় দিনের বেশি ব্যায়াম করবেন না। হাঁটা, জগিং, স্কিপিং, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার কাটতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও করতে পারেন। এছাড়াও আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. শাহজাদা সেলিম, সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
১. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে বাসায় হাঁটুন।
৩. একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে তিনবারে হাঁটুন। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের দেড় ঘণ্টা পর ১৫ মিনিট (না পারলে ১০ মিনিট) করে হাঁটুন।
৪. নিয়ম করে হাঁটা শুরুর আগে ওয়ার্মিং আপ ও পরে কুলিং ডাউন করবেন। ৫-১০ মিনিট খালি হাতের
ব্যায়াম করুন।
৫. যাঁদের পক্ষে সম্ভব ট্রেডমিল মেশিন, সাইকেলে ব্যয়াম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট।
৬. দেয়াল বা কোনো বড় শক্ত কাঠামোর বিপরীতে হাত ও পা দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড শরীরের ওজন ধরে রাখুন (রেজিসস্ট্যান্স এক্সারসাইজ)।
৭. কম বয়সীরা দড়ি লাফ (দিনে ৩০০ বারের মতো) দিতে পারেন।
৮. অস্থিসন্ধির (জয়েন্ট) নড়াচড়ার ব্যায়াম করতে হবে (যেমন—হাঁটু বাঁকা ও সোজা করা, কোমর, ঘাড়, গোড়ালি, কনুইয়ের ব্যয়াম ইত্যাদি)।