× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিমানবন্দরের আগুনে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি, ১১ দফা দাবি

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক:

২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৫ পিএম । আপডেটঃ ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৭ পিএম

ছবি: ন্যাশনাল ট্রিবিউন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাথমিক হিসাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বাপি)। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ১১ দফা দাবি পেশ করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাপি জানিয়েছে, দেশের শীর্ষ ৪৫টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার ঔষধ উৎপাদনের কাঁচামাল আগুনে পুড়ে গেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব যুক্ত হলে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পুড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে– অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যান্সার জাতীয় ঔষধ উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। এছাড়া, স্পেয়ার পার্টস ও মূল্যবান মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফার্মা কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এসব কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় ঔষধ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষত, নারকোটিকস বিভাগ থেকে অনুমোদিত পণ্য পুড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এসব পণ্য পুনরায় আমদানি করা জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

কাঁচামাল আমদানিতে বিলম্ব হওয়ায় দেশের ঔষধের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও বহির্বিশ্বে রপ্তানি সক্ষমতা—উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে বাপি'র সহ-সভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, "আমরা যেসব প্রাথমিক হিসাব পেয়েছি, তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এই খাতের টেকসই উৎপাদন রক্ষা করতে সরকারের বিশেষ দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন।"

সমিতির মহাসচিব ড. মো. জাকির হোসেন জানান, "আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ওপর ইতিমধ্যেই শুল্ক, ডিউটি ও ভ্যাট প্রদান করা হয়েছে। তাই সরকার যেনো এসব ফেরত দেয় এবং ব্যাংক চার্জ, সুদ মওকুফের ব্যবস্থা নেয়।"

বাপি'র কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পুনরায় আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক যেনো সহজ শর্তে এলসি ওপেন ও রিলিজের সুযোগ দেয়।"

এই সংকট মোকাবিলায় বাপি দ্রুত সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে মোট ১১ দফা দাবি পেশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

১. ইতিমধ্যে প্রদত্ত শুল্ক, ডিউটি ট্যাক্স ও ভ্যাট আমদানিকারকদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা। 

২. ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল সংক্রান্ত এলসি'র ব্যাংক চার্জ ও সুদ মওকুফ করা। 

৩. ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পুনঃআমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহকে সহজ শর্তে এলসি ওপেন ও রিলিজের সুযোগ দিতে হবে। 

৪. কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডজনিত কারণে ধার্যকৃত কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট, এআইটি সহ অন্যান্য সকল চার্জ মওকুফ করা। 

৫. নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদিত পণ্য আগের অনুমোদনের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে পুনরায় আনার অনুমতি দেওয়া। 

৬. উৎপাদন সচল রাখতে সকল কাস্টম প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা এবং কোল্ড চেইন মেনটেইন করার কাঁচামাল দ্রুততম সময়ে রিলিজের ব্যবস্থা করা। 

৭. ডিজিডিএ, নারকোটিকস, কাস্টমস, এনবিআর ও বিমান কর্তৃপক্ষ সহ অন্যান্য রেগুলেটরি বোর্ডকে নিয়ে দ্রুত যৌক্তিক সভা করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.