চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ভোট ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর হাওলাদার এবং বরকতুল্লাহ মারা যান বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হল।
চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, "জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ এবং বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।"
দগ্ধদের মধ্যে যে আটজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের সবার অবস্থাই ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক তারিকুল।
শিশুদের শরীরের ১০ শতাংশের বেশি এবং বয়স্কদের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই তাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকার এস এন করপোরেশনে একটি জাহাজের পাম্প হাউজে কাজ করার সময় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। তাতে ১২ জন দগ্ধ হন।
এরপর তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরে আটজনকে মালিকপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।